শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন
সারাদিন পশু কোরবানি আর মাংস কাটাকাটি-ভাগাভাগির মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার দিনটি পার করছেন ধম্রপাণ মুসলমানরা। আর দিন গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই স্বজন-সন্তানদের নিয়ে বিনোদনকেন্দ্র মুখি হয়েছেন নগরবাসী। নগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই উম্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ। যারমধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু উদ্যান, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড, কালিজিরা ব্রীজ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রীজ, চৌমাথা লেকসহ কীর্তনখোলা নদী ও নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা। আবার নগরের বাহিরে বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন দুর্গাসাগর, উজিরপুরের বায়তুল আমান (গুঠিয়া) জামে মসজিদ, দোয়ারিকা-শিকারপুর সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্মতাত্মিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদনমুখি মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জস্থ শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু পার্ক, নগরের বান্দরোড সংলগ্ন গ্রীন সিটি শিশু পার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড এ ঈদের দিন থেকেই শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও প্রেক্ষাগৃহ, খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনায় ঘুরে ঘুরে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে দেখা গেছে অনেককেই। আর এসব বিনোদন স্পটের বেশিরভাগেই টিকিট কাটা, লাইনে দাড়ানোর কোন ঝক্কি-ঝামেলা নেই। আবার খুদ্র ব্যবসায়ীদের কল্যানে প্রতিটি বিনোদন স্পটেই অল্প টাকায় মিলছে বাহারি রকমের খাবার-দাবার। শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্কে শিশু সন্তান সাওদাকে নিয়ে ঘূরতে আসা কামাল হোসেন বলেন, সারাদিন মাংস কাটাকাটির মধ্যে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেলে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বেড় হয়েছেন। মাঝখানে শিশু পার্কে ঘুরিয়ে নিচ্ছি একমাত্র কণ্যাকে।এদিকে কীর্তনখোলা নদী তীরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কসহ বিভিন্ন স্পটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। পরিবার-পরিজন ছাড়াও বন্ধু ও প্রিয়জনকে নিয়েও এসব জায়গাতে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে অনেকেই স্বজনদের নিয়ে কীর্তনখোলা নদীতেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাহিনুর বেগম নামে এক কর্মজীবি নারী বলেন, ডেঙ্গু জ্বর আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তানদের সাথে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতেই কীর্তনখোলার বুকে ভেসে বেড়িয়েছেন। ঘুরে বেড়িয়েছেন গ্রামের মেঠো পথ ধরে। যা সন্তানদের বেশি আনন্দ দিয়েছে। অপরদিকে ঈদে নগরজুড়ে বিভিন্ন ফুড কোর্ট ও রেস্টুরেন্টেও ভিড় বেড়েছে ।